সুন্দরবনের গাছের কিছু বৈশিষ্ট্য – (Some characteristics of Sundarbans trees)
সুন্দরবনের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অন্য এলাকার তুলনায় ভিন্ন। সুন্দরবন উপকূলের নিচু নদীবেষ্টিত লবণাক্ত এলাকায় অবস্থিত। লবণাক্ততা এই বনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
সুন্দরবনের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অন্য এলাকার তুলনায় ভিন্ন। সুন্দরবন উপকূলের নিচু নদীবেষ্টিত লবণাক্ত এলাকায় অবস্থিত। লবণাক্ততা এই বনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন মধুর স্বর্গরাজ্য। সুন্দরবনে যেসব গাছ হয় তার মধ্যে, খলিশা, গড়ান, কেওড়া, বাইন গাছে ফুল ধরে। এর মধ্যে সবচেয়ে দামী খলিশা ফুল।
ওরিয়েন্টাল স্কোপ্স পেঁচা (Otus sunia) হল একটা ছোটো আকারের স্কোপ্স পেঁচা যাদেরকে প্রধানত পাওয়া যায় দক্ষিণ এশিয়া। প্রধানত শুষ্ক বনভুমিতে দেখতে পাওয়া যায়।
সোনালি থেকে লালচে বাদামি দেহের ওপর ছোপ ছোপ গোলাকার সাদা ফোঁটা থাকে। এমন বৈশিষ্ট্য থেকেই এ হরিণে নাম দেওয়া হয়েছে চিতাল হরিণ বা চিত্রা হরিণ।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা বঙ্গপোসাগরের বুকে জেগে উঠা সুন্দরবনের ডিমের চর। সৃষ্টিকর্তা যেন রূপসী বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছে বালির আঁচলে। অতিপ্রাকৃত, অপার্থিবও এ ডিমের চর।
সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্বকোণে মংলা বন্দর থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে কটকায় রয়েছে এই সমুদ্র সৈকত। সৈকত এলাকায় ছোট বড় প্রচুর জামগাছের জন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে জামতলা সমুদ্র সৈকত।
সুন্দরবনের কটকা নদীর পূর্ব দিকে অবস্থিত প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত কচিখালী সমুদ্র সৈকত একটি চমৎকার দর্শনীয় স্থান।
শতভাগ অর্গানিক মধু পাওয়া যায় সুন্দরবনে।সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু হলো বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট মধু। বুনো মৌমাছির দল এসকল গাছের ফুল থেকে পুস্পরস সংগ্রহ করে তাদের মৌচাকে মধু হিসেবে জমা করে।
পাখি দিয়ে মাছ শিকার করা হয় সুদূর চীন এবং জাপানে।ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করার এই পদ্ধতিটি প্রাকৃতিক, বেশ পুরনো, প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য এটি।
সুন্দরবনের এই কুমিরের নাম লোনাপানির কুমির, ইংরেজিতে সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল। সুন্দরবনের নদী-খাল ছাড়া আর কোথাও কুমিরও দেখা যায় না।
টানা তিন মাস বন্ধের পর শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে সুন্দরবন। বন বিভাগের পারমিট পাস নিয়ে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই সুন্দরবনে প্রবেশ করবেন পর্যটকরা।
বাংলাদেশের বণ্যপ্রাণীর বৃহত্তম আবাসস্থল সুন্দরবন জুড়েই পর্যটকদের জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার অপার সুযোগ রয়েছে।
সুন্দরবন ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সময় বর্ষাকাল।
দুবলার চর বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি দ্বীপ। হরিণের জন্য বহুল পরিচিত এই স্থান।
হিরণ পয়েন্ট সুন্দরবনের দক্ষিণাংশের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। ইউনেস্কো ঘোষিত অন্যতম বিশ্ব ঐতিহ্য হিরণ পয়েন্টের অন্য নাম নীলকমল।
হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর তীরের এক পাশে সুন্দরবন এবং অন্য পাশে মান্দারবাড়িয় সমুদ্র সৈকত।
সুন্দরবনের বৈচিত্রময় স্থান গুলোর মধ্যে কটকা সমুদ্র সৈকত অন্যতম। কটকা সমুদ্র সৈকত সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্বকোনে খুলনা ও বাগেরহাটে অবস্থিত।
হাড়বাড়িয়া ইকো পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের মধ্যে অন্যতম পর্যটন স্থান।এখানকার মূল আকর্ষণ বনের ভেতর দিয়ে যাওয়ার কাঠের ট্রেইল।
করমজল পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের পশুর নদীর তীরে অবস্থিত।ও নির্মিত হয়েছে কাঠের ট্রেইল এবং টাওয়ার।
সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। সুন্দরী বৃক্ষের নামানুসারে এই বনের নাম সুন্দরবন রাখা হয়।
সুন্দরবন এক প্রাকৃতিক বিস্ময়ের নাম। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন বা লবণ বন।
বাংলাদেশ একটি ভূখণ্ড। একে “ম্যানগ্রোভ বন” বলা হয়। এর কিন্তু চমৎকার একটা নাম আছে বনের প্রধান বৃক্ষ সুন্দরী ৷
বাংলাদেশ, একটি ভূখণ্ড। দক্ষিণাঞ্চলে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি রয়েছে যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলীর অন্যতম।