দুবলার চর – [Dublar Char]
দুবলার চর (Dublar char) বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের দক্ষিণে, কটকার দক্ষিণ-পশ্চিমে ও হিরণ পয়েন্টের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি দ্বীপ। হরিণের জন্য বহুল পরিচিত এই স্থান। কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে এটি ৮১ মাইলের একটি বিচ্ছিন্ন চর এটি। আলোরকোল, হলদিখালি, কবরখালি, মাঝেরকিল্লা, অফিসকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয় ও মেহের আলির চর নিয়ে দুবলার চর গঠিত।
দুবলার চরের সকল পরিবারই মৎস্যজীবী তাই একে জেলে পরী বলা চলে। মাছ ধরার পাশাপাশি এখানে চলে শুঁটকি তৈরীর কাজ। বর্ষাকালে ইলিশ শিকারের জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বাগেরহাট, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা এবং মূলনা থেকে দলবেঁধে জেলেরা দুবলার চরে এসে সাময়িক বসতি গড়ে তোলে। তোলে। দুবলার চর থেকে শুঁটকি নিয়ে চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের পাইকারী বাজারে সংরক্ষণ এবং বিক্রেয় করা হয়। সুন্দরবনের বাগেরহাটস্থ পূর্ব বিভাগের সদর দপ্তর থেকে মাছ সংগ্রহের অনুমতি নিয়েই শুধুমারে দুবলার চরে জেলেরা প্রবেশ করতে পারেন।
যা দেখবেন
শুটকি মাছ প্রক্রিয়াজাতকরনের জন্য দুবলার চরের খ্যাতি রয়েছে। সেখানে মাছের শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরন প্রত্যক্ষ করুন, মাছ ধরা দেখুন। দুবলার চরে হাঁটলে আপনি নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দেখা পেতে পারেন। এছাড়া চরের চারপাশে পানি থাকায় এখানে নানা প্রজাতির মাছ ও জলজ উদ্ভিদের দেখা পাবেন। সেখানকার মানুষের জীবনধারা কতটা বৈচিত্র্য তা অনুধাবন করতে পারবেন। মাছ ধরাও দেখতে পাবেন খুব কাছ থেকে।
প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসে (খ্রিস্টীয় নভেম্বর) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রাসমেলা এবং পূণ্যস্নানের আয়োজন হয়। এ উপলক্ষে মেলা হয়। তিনদিনব্যাপী এ মেলায় অনেক বিদেশি পর্যটকেরও সমাগম হয়।
সতর্কতা
দুবলার চরের জেলেপল্লীতে বনদস্যুদের উৎপাত ছিল এক সময়, তবে বর্তমানে অনেক কমে এসেছে। বনদস্যুদের উৎপাত ঠেকাতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ ও বন বিভাগের প্রহরীরা থাকলেও সমন্বিত উদ্যোগের অভাব আছে।