ডিমের চর – (Dimer Char)
ডিমের চর কচিখালী অভয়ারণ্যের আওতাধীন একটি চর। ডিমের চরটিকে দেখতে অনেকটা ডিমের মতো বলে এটাকে ডিমের চর বলা হয়। কটকা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা লঞ্চে চরে ডিমের চরের মোহনায় পৌঁছাতে হয়। কটকা থেকে খুবই কাছে ডিমের চরের অবস্থান। এই সৈকতটি নির্জন এবং পরিচ্ছন্ন। এখানে এলে প্রচুর হরিণের দেখা যায়। নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা মনোমুগ্ধকর এই ডিমের চরে জলরাশি ও ঢেউয়ের গর্জন এক অন্য রকম মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরা বঙ্গপোসাগরের বুকে জেগে উঠা সুন্দরবনের ডিমের চর। সৃষ্টিকর্তা যেন রূপসী বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছে বালির আঁচলে। নদীর লোনা জলে রৌদ্রস্নান আর সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকনসহ শরীরের প্রশান্তি জুড়াবে। ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় সমুদ্রসৈকতের ভিন্ন রূপ আর সন্ধ্যার পরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। শরৎ বিদায় নিলেও চরাঞ্চলজুড়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য ছড়ানো কাশবন আলাদা মাত্রা যোগ করছে ডিমের চরের।
সুন্দরবনে বেড়াতে আনা পর্যটকদের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে ডিমের চর। যেখানে নির্জনতা আছে, আছে ভয়। অতিপ্রাকৃত, অপার্থিবও এ চর। এর পাশেই আরেকটি চর আছে, নাম হলো পক্ষির চর। নীল আকাশে সাদা মেঘের সঙ্গে ঢেউ খেলানো কাশবন ও বিচে আছড়ে পরা ঢেউয়ের সাথে ছবি তুলে পর্যটকরা স্মৃতি নিয়ে ফেরেন ডিমের চর থেকে।
বেলাভূমিজুড়ে শুধুই দেখা যায় কাঁকড়াদের শিল্পকর্ম। অন্যপাশে বিশাল কাশবন। সন্ধ্যায় এখান থেকে বিচিত্র এক আকাশের দেখা মেলে। ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এ জায়গাটি খুবই আকর্ষণীয়। কটকা সি-বিচ ভেঙে যাওয়ায় পর্যটকরা এখন ডিমের চরের বিচে বেশি আসেন। ডিমের চর সমুদ্রসৈকতের বিচের মতোই। একদিকে উত্তল তরঙ্গমালা অন্যদিকে কার্বনের রাজ্য। সবমিলে অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা ডিমের চর।