জামতলা সমুদ্র সৈকত – (Jamtola Sea Beach)
সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্বকোণে মংলা বন্দর থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে কটকায় রয়েছে এই সমুদ্র সৈকত। সৈকত এলাকায় ছোট বড় প্রচুর জামগাছের জন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে জামতলা সমুদ্র সৈকত। এ সৈকত যেন এক বুনো সুন্দরী।
সুন্দরবন বলতে অনেকেই জানে দুই পাশে ঘন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া সরু খালের কথা। কখন বাঘ আসে এই উৎকণ্ঠা নিয়ে অজানা অচেনা পাখপাখালির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে এগিয়ে চলা, গভীর বনে ভিতর হঠাৎ দেখা যায় বানর, হরিণ পাল এবং নানা রকম বন্য প্রাণীর পানি পান করতে আসার দৃশ্য। ট্রলার বা লঞ্চে যেতে যেতে কখনো আবার শুশুক এর খেলা করার দৃশ্য চোখে পড়ে। এভাবে সুন্দরবন ভ্রমণের বড় একটা অংশ কেটে যায় নদী আর খালেই। এই সুন্দরবনে যে সমুদ্রসৈকত ও আছে তা কিন্তু অনেকেই জানে না।
সমুদ্র সৈকত – এ সৈকত বুনো সুন্দরী। প্রায় তিন কিলোমিটার ঘন সুন্দরী, গেওয়া, গরান, এবং কেওড়ার বন পেরিয়ে সৈকতে যেতে হয়। জামতলা সমুদ্র সৈকতের পথে শুধু ম্যানগ্রোভ বন নয়, বেশ খানিকটা ফার্নের ঝোপও পেরুতে হয়। পথে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ারও আছে। সৈকতটির আবার দুইটি ভাগ আছে। একটাতে ঝোপঝাড় বেশি, অন্যটা একটু বেশি খোলামেলা। মাটির স্তুপ করা পলি। ধুয়ে যাওয়া মড়া গাছের শেকড়, সব মিলিয়ে এক অপুর্ব সৌন্দর্য আপনি এই সৈকতে দেখতে পাবেন।
জামতলা সমুদ্র সৈকতের পথে শুধু ম্যানগ্রোভ বন নয়, ফার্নের ঝোঁপও পাড়ি দিতে হয় খানিকটা। এ সৈকতের স্বকীয়তা হলো কালো বালির চাকচিক্য!